ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

না.গঞ্জে অ্যাপোলোর শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচি 

না.গঞ্জে অ্যাপোলোর শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচি 

নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার শিমরাইল এলাকার অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স লিমিটেড কারখানার চাকুরিচ্যুত শ্রমিক-কর্মচারীদের আইনগত পাওনাদি পরিশোধের দাবিতে চাষাড়া শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে অর্ধশতাধিক শ্রমিক কর্মচারী। অ্যাপোলোর শ্রমিক আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র ‘টিইউসি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাফিজুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দাস, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, জেলা কমিটির সদস্য এমএ শাহীন, নুর ইসলাম আক্তার, অ্যাপোলোর শ্রমিক আওলাদ হোসেন, বানু বেগম, রাজিয়া বেগম প্রমুখ।

সমাবেশে নেতারা বলেন, অ্যাপোলো ইস্পাতের শ্রমিক-কর্মচারীরা বছরের পর বছর এ কারখানায় কাজ করেছে। অনেকে পুরো জীবনটাই এখানে কাটিয়ে দিয়েছেন। তাঁদের শ্রম ঘাম নিয়ে মালিক কোটি কোটি টাকা মুনাফা করেছেন। হঠাৎ করে ২০২২ সালের ১৬ জুলাই কারখানাটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে শ্রমিক কর্মচারীরা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে চরম বিপদে পড়েছেন। বাজারে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে দৈনন্দিন জীবনের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বর্তমান সময়ে শ্রমজীবী মানুষ যা আয় করে তা দিয়ে সংসার চালাতে পারছে না। এই দুরবস্থার মধ্যে অ্যাপোলো কারখানা মালিক ২১৪ শ্রমিক-কর্মচারীকে চাকুরিচ্যুত করে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিয়েছে। চাকুরিচ্যুতদের মধ্যে বড় অংশ শ্রমিককেই বকেয়া পাওনার সঙ্গে সামান্য আইনি পাওনা দিয়ে না-দাবি নামায় জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে বিতাড়িত করছে। অবশিষ্ট ৫০ জন শ্রমিক-কর্মচারীর আইনগত পাওনাদি পরিশোধ করছে না। নানান টালবাহানায় হয়রানি করছে। ফলে চাকুরিচ্যুত শ্রমিক-কর্মচারীরা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এরই মধ্যে তাদের বকেয়া বেতন-ভাতাও আন্দোলন করেই আদায় করতে হয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এখনো শ্রমিক-কর্মচারীর চাকুরির ক্ষতিপূরণ (সার্ভিস বেনিফিট) পরিশোধ করেনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত